back to top
Home Blog

Anarosh Ilish: ঝাল মিষ্টি স্বাদ, মাত্র 35 মিনিটেই বানিয়ে ফেলুন আনারস ইলিশ

Anarosh Ilish recipe

কেমন হয় যদি ইলিশের পদে থাকে ফল? আরও ভালো করে বললে আপনার পাতে যদি থাকে Anarosh Ilish? রাগ করবেন?

বর্ষাকাল মানেই ইলিশ। সে ইলিশ পদ্মার হোক বা অন্য কোথাকার। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের জন্য এখন পদ্মার ইলিশ আগের মতো পাওয়া না গেলেও যা বাজারে আসছে সেটা দিয়েই কাজ হয়ে যাচ্ছে। আর এই বর্ষাকালে ইলিশের একাধিক পদে বাঙালির ঘর মঁ মঁ করে ওঠে। সর্ষের ঝাঁঝ আর ইলিশের স্বাদে বারবার খিদে পায়। তবে এ বার ইলিশের অন্য কোনও একটা পদ ট্রাই করে দেখুন না।

বাঙালি বাড়িতে ইলিশ নিয়ে এক্সপিরিমেন্ট কম হয়নি। দিদা ঠাকুমাদের আমল থেকে বর্তমান প্রজন্ম, প্রত্যেকের হাতে পড়ে ইলিশের পদে বদল এসেছে। শিল নোড়া দিয়ে বানানো থেকে বর্তমানে মিক্সি। সেইমতোই ইলিশের উপকরণেও বদল এসেছে। তাই গতে বাধা সর্ষে ইলিশ বা বেগুন ইলিশ না করে আনারস ইলিশ ট্রাই করুন আপনার বাড়িতে।

Veg Cheese Balls দিয়ে জমে উঠুক সন্ধ্যার চা, বানাতে লাগবে ঠিক 17 মিনিট, জেনে নিন রেসিপি

এখানে যেমন থাকবে জিরের স্বাদ, তেমনই থাকবে আনারসের মিষ্টি, সঙ্গে ঘি-এর গন্ধ ব্যাপারটাকে আরও মাখো মাখো করে দেবে। রেসিপিটা সহজ, তাই বানাতেও খুব একটা বেশি সময় লাগবে না।

আগে দেখে নিন আনারস ইলিশ বানাতে কী কী উপকরণ লাগবে

  • গরম মশলা গুঁড়ো ২ টেবল চামচ
  • টম্যাটো (কুচো করে কাটা) ১ চামচ
  • পেঁয়াজ (কুচো করে কাটা) ৩ টেবল চামচ
  • আদা রসুন বাটা ২ টেবল চামচ
  • আনারসের টুকরো ১ কাপ
  • শুকনো লঙ্কা ২ পিস
  • সর্ষের তেল ২০ মিলি
  • ইলিশ মাছ ২ পিস
  • ধনে পাতা কুচি ২ টেবল চামচ
  • গুঁড়ো ধনে ১ টেবল চামচ
  • লাল লঙ্কার গুঁড়ো ১ টেবল চামচ
  • হলুদ ২ টেবল চামচ
  • গোটা জিরে ১ টেবল চামচ
  • জল পরিমাণমতো
  • ঘি ২ টেবল চামচ
  • নুন স্বাদমতো

ভালো স্বাদের জন্য কাঁচা পাকা আনারস নেবেন। একদম পাকা আনারস নিলে স্বাদ খারাপ হয়ে যাবে।

আনারস ইলিশ বানানোর পদ্ধতি

  • মাছটা ধুয়ে ম্যারিনেট করে নিন। এরজন্য ব্যবহার করুন হলুদ ও নুন। ম্যারিনেট করে ঘড়ি ধরে ৫ মিনিট রেখে দিন।
  • প্যানে সর্ষের তেল গরম করে ম্যারিনেট করা মাছগুলো এক এক করে দিয়ে দিন। ভাজা হয়ে গেলে তুলে নিন। সব মিলিয়ে ৩-৫ মিনিট লাগবে। ভাজা হয়ে গেলে তেল থেকে তুলে আলাদা রেখে দিন।
  • মাছ ভাজার তেলে দিয়ে দিন গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা। গন্ধ না বেরনো পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।
  • গন্ধ বেরিয়ে গেলে এক এক করে দিয়ে দিন আদা রসুন বাটা, কুচো করে কাটা পেঁয়াজ, কুচো করে কাটা টম্যাটো, আনারসের টুকরো, হলুদ গুঁড়ো, লাল লঙ্কার গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, নুন।
  • সব দেওয়া হয়েগেলে ৫ মিনিট ভালো করে নাড়তে থাকুন।
  • মাখা মাখা হয়ে গেলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে দিন। নিজের পরিমাণমতো জল দিন। কিছুক্ষণ আলতো হাতে নাড়তে থাকুন, যাতে মাছগুলো ভেঙে না যায়। ৪-৫ মিনিট কষতে দিন।
  • মাছগুলো হাল্কা বাদামি হয়ে গেলে তুলে নিন।

তৈরি হয়ে গেল আনারস ইলিশ (Anarosh Ilish)। এ বার সেটাকে একটা পাত্রে তুলে তার উপর ধনে পাতা, গরম মশলা ও ঘি দিয়ে দিন। নুন কম লাগলে আলাদা করে দিতে পারে।
অনেকে লঙ্কার গুঁড়োতে পেটের সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে আপনি লঙ্কার গুঁড়ো বাদ দিতে পারেন। লঙ্কার গুঁড়ো ব্যবহার করা হয়েছে রংয়ের জন্য।

এটাকে গরম ভাতের সঙ্গে খান।

পেটের মেদ কমানোর উপায়, জেনে নিন 5 পয়েন্টে

আনারস ইলিশ কীসের সঙ্গে খেতে পারেন?

একদম গোদা বাঙালি বাড়ির মতো খাবার। ডাল, ভাত, বেগুন ভাজার সঙ্গে এটা খেতে পারেন। বা বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি দিয়েও আয়েশ করে খেতে পারেন।

এক গাল ভাতের সঙ্গে একটু মাছ, গ্রেভি আর এক টুকরো আনারস মুখের মধ্যে চালান করুন। তার পর দেখবেন স্বাদ।

আনারস আর ইলিশ দুটো রেয়ার কম্বিনেশন। কিন্তু মশলা ঠিকমতো ব্যবহার করলে ও সেটাকে ঠিকমতো তৈরি করতে পারলে ফাইভস্টার হোটেলের খাবারকেও হার মানাবে। তাই এই বর্ষাকালে আর দেরি না করে বাজারে যতদিন ইলিশ আছে, ততদিনে বানিয়ে ফেলুন এই পদ।

দেখলেন তো বাড়িতে বানাতে খুব একটা বেশি ঝামেলা বা খরচ নেই। এটা রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে ২ পিস ইলিশ হয়তো আপনার থেকে ৮৫০-১০০০ টাকা নিয়ে নেবে। তার থেকে এই পদে ২-৩ জন আয়েশ করে খেতে পারবেন ও পকেটে টাকাও থাকবে। সঙ্গে রান্নার সময় ইলিশের গন্ধ, সর্ষের তেলের ঝাঁঝ বা ঘি-র অ্যারোমা বাড়তি পাওনা। এগুলো তো আর টাকা দিয়ে কিনতে পারবেন না তাই বেশি না ভেবে বাড়িতেই বানিয়ে নিন।


FAQ

আনারস ইলিশের স্বাদ কেমন?

এখানে থাকবে জিরের স্বাদ, তেমনই থাকবে আনারসের মিষ্টি, সঙ্গে ঘি-এর গন্ধ ব্যাপারটাকে মাখো মাখো করে দেবে।

আনারস ইলিশ বানাতে কী কী লাগবে?

গরম মশলা গুঁড়ো ২ টেবল চামচ
টম্যাটো (কুচো করে কাটা) ১ চামচ
পেঁয়াজ (কুচো করে কাটা) ৩ টেবল চামচ
আদা রসুন বাটা ২ টেবল চামচ
আনারসের টুকরো ১ কাপ
শুকনো লঙ্কা ২ পিস
সর্ষের তেল ২০ মিলি
ইলিশ মাছ ২ পিস
ধনে পাতা কুচি ২ টেবল চামচ
গুঁড়ো ধনে ১ টেবল চামচ
লাল লঙ্কার গুঁড়ো ১ টেবল চামচ
হলুদ ২ টেবল চামচ
গোটা জিরে ১ টেবল চামচ
জল পরিমাণমতো
ঘি ২ টেবল চামচ
নুন স্বাদমতো

আনারস ইলিশ বানাতে কত সময় লাগবে?

34-45 মিনিট সময় লাগবে

আনারস ইলিশ কি সবাই খেতে পারবে?

হ্যাঁ

Donald Trump Tariffs India: ট্যারিফ যুদ্ধে ট্রাম্প, কোন 3 পরিবর্তন হবে ভারতীয় অর্থনীতিতে

donald trump tariffs india

সাম্প্রতিক ইতিহাসে যেই আমেরিকা প্রেসিডেন্ট চর্চায় রয়েছেন, তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর হঠকারি সিদ্ধান্ত থেকে শুরু করে আলটপকা মন্তব্য বারবার আলোড়ন ফেলেছে। এ বার সেটা আরও বেড়েছে তাঁর নতুন শুল্ক নীতিতে। সম্প্রতি তিনি ভারতের উপর দু’বারে ২৫ শতাংশ করে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন (Donald Trump Tariffs India)। এই শুল্কের ফলে কী প্রভাব পড়বে ভারতীয় অর্থনীতিতে? জেনে নিন এই প্রতিবেদনে-

ডোনাল্ড ট্রাম্প কেন ভারতের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন (donald trump tariffs india)?

দ্বিতীয় পর্বে ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি বরাবরই ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ স্লোগানকে প্রাধান্য দিয়েছেন। অর্থাৎ, সবসময় আমেরিকাকে এগিয়ে রাখার পক্ষে তিনি। তাঁর মতে, আমেরিকা দীর্ঘদিন ধরে অন্য দেশগুলির সঙ্গে অসম বাণিজ্য চুক্তিতে জড়িয়েছে, যার ফলে আমেরিকার নিজস্ব শিল্প ও কর্মসংস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ছবিটা বদলাতে চান তিনি। এই কারণে তিনি শুল্ককে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। এই শুল্ক আরোপকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়:

বাণিজ্য ঘাটতি এবং পারস্পরিক শুল্ক (Reciprocal Tariffs):

ট্রাম্পের অভিযোগ হলো, ভারত আমেরিকার পণ্যের উপর বেশি শুল্ক আরোপ করে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নিয়মের পরিপন্থী। তিনি একাধিক সাক্ষাৎকারে ভারতকে বেশি শুল্ক চাপানো দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাঁর যুক্তি হলো, যখন ভারত আমেরিকান পণ্য (যেমন, হারলে-ডেভিডসন বাইক, কৃষিপণ্য বা দুগ্ধজাত পণ্য) আমদানির ক্ষেত্রে বেশি মানের শুল্ক বসায়, তখন আমেরিকারও একই পথে হাঁটা উচিত।

আমেরিকার প্রশাসনের দাবি, এর ফলে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে (Donald Trump Tariffs India)। অর্থাৎ, ভারত থেকে আমেরিকায় যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়, তার তুলনায় আমেরিকা থেকে ভারতে রপ্তানির পরিমাণ অনেক কম। ট্রাম্পের লক্ষ্য হলো, ভারতের উপর থেকে বেশি ভরসা না করে নিজেরাই সেগুলো উৎপাদন করুক।

Shaheed Minar Kolkata: সেলিব্রেশন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উৎসর্গ, জেনে নিন 200 বছরের স্থাপত্যের ইতিহাস

ভূ-রাজনৈতিক কারণ এবং রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য:

শুধু বাণিজ্যে ভারসাম্য আনা নয়, এর অন্যতম কারণ হচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ভালো সম্পর্ক। অস্ত্র থেকে শুরু করে তেল একাধিক ক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে ভারত বাণিজ্য করে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ভারত রাশিয়ার থেকে তেল কেনার পরিমাণ আরও বাড়ায়। এটা ট্রাম্পকে রাগিয়েছে।

ট্রাম্পের অভিযোগ হলো, ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনে সেই তেল নাকি অন্য দেশকে বেশি দামে বিক্রি করে বেশি টাকা আয় করছে। এরফলে নাকি রাশিয়া যুদ্ধ করার জন্য বেশি শক্তি পাচ্ছে। এই কারণে তিনি অতিরিক্ত শুল্ক চাপাচ্ছেন। যদিও ভারত এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে যে, অনেক পশ্চিমা দেশও রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা অব্যাহত রেখেছে।

ভারতের অর্থনীতিতে শুল্কের সম্ভাব্য পরিবর্তন

ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপানো এই করের ফলে ভারতের অর্থনীতিতে ধাক্কা লাগবে (donald trump tariffs india)। বিশেষ করে যেসব ক্ষেত্র রপ্তানির উপর নির্ভরশীল। দেখে নিন কোন কোন খাতে ধাক্কা লাগবে-

রপ্তানি খাতে সরাসরি আঘাত:

শুল্ক বাড়ানোর অর্থ হলো, ভারত থেকে যেই পণ্য আমেরিকায় যাবে সেগুলোর দাম বাড়বে। এর ফলে আমেরিকানরা ভারতের পণ্যের বিকল্প হিসেবে অন্য দেশের পণ্য় বেছে নেবেন। এতে যেমন ভারতের রপ্তানিতে ধাক্কা লাগবে, তেমনই আমেরিকায় থাকায় ভারতীয়দের সমস্যা হবে (Donald Trump Tariffs India)।

বস্ত্রশিল্প, চামড়াজাত পণ্য, হস্তশিল্প, জুয়েলারি, এবং গাড়ির যন্ত্রাংশের মতো রপ্তানি-নির্ভর শিল্পগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফলে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতটা ধাক্কা খাবেন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প যাদের আয়ের বেশিরভাগ আসে আমেরিকা থেকে, তারা ধাক্কা খাবে।

African tribe in India: দেশের মধ্যে এক টুকরো আফ্রিকা, চিনে নিন গুজরাটের জাম্বুর গ্রামকে

ভারতীয় টাকার উপর চাপ:

বৈদেশিক মুদ্রায় আয়ের একটা অন্যতম রাস্তা হলো বিদেশে রপ্তানি। মার্কিন ডলার আয়ের জন্য আমেরিকায় পণ্য পাঠানোটা গুরুত্বপূর্ণ। সেটায় ধাক্কা খেলে ভারতের আয় কমবে। এতে ভারতের মুদ্রার উপর চাপ বাড়বে ও ডলারের দাম আরও বাড়বে।

নতুন বাজার খুঁজতে হবে:

আমেরিকা ট্যারিফ না কমালে ভারতকে আমেরিকায় যেই পণ্যগুলো পাঠাতে হতো সেগুলো পাঠানোর জন্য নতুন দেশ খুঁজতে হবে (Donald Trump Tariffs India)। সেক্ষেত্রে একটা বড় বদল দেখা যেতে পারে ভারতের রপ্তানি ক্ষেত্রে। সেটা করতে সময় লাগবে, ততদিন পর্যন্ত ধাক্কা থাকবে।

ভারত ও আমেরিকার শুল্ক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের ইতিহাস

ভারত ও আমেরিকার মধ্যে এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক নতুন নয়। এটা পুরোনো ও জটিল (Donald Trump Tariffs India)। যতবার দুই দেশে ক্ষমতা বদল হয়েছে, ততবার সম্পর্কেও বদল এসেছে। দেখে নিন ভারত ও আমেরিকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও তাতে বদল-

ঠাণ্ডা যুদ্ধ থেকে অর্থনৈতিক সংস্কার (১৯৪৭-১৯৯০):

ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময় থেকে ভারত জোট-নিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ করে। ফলে যুদ্ধপ্রেমী আমেরিকাকে কখনও ভারত যুদ্ধক্ষেত্রে প্রকাশ্যে সমর্থন করেনি। ভারত সবসময় নিজেদের শিল্পকে প্রাধান্য দিতে আমদানি করা জিনিসে বেশি কর চাপাত।

উদারীকরণ এবং সম্পর্কের উন্নতি (১৯৯০-২০০০):

১৯৯০-এর সময় থেকে ভারতে আর্থিক উদারীকরণ শুরু হয়। ভারত শুল্ক কমায় এবং বিদেশি সংস্থাগুলোর জন্য নিজেদের বাজার খুলে দেয়। এর পর থেকে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য বাড়তে থাকে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসা (২০১৯):

ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির কারণে ভারতের উপর শুল্কের বিষয়ে কঠোর হন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন ভারত আমেরিকার পণ্যের উপর বেশি মাত্রায় শুল্ক চাপায়। এর ফলস্বরূপ, ২০১৯ সালে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয়। এটি ছিল দুই দেশের মধ্যে প্রথম বড় ধরনের বাণিজ্য সংঘাতের সূচনা (Donald Trump Tariffs India)।

দ্বিতীয়বার ট্রাম্প প্রশাসন এবং নতুন শুল্ক যুদ্ধ (২০২৫-বর্তমান):

ট্রাম্প প্রথমবার যেটা করেছিলেন সেটা জো বাইডেন এসে ঠিক করে দেন। কিন্তু দ্বিতীয়বার ট্রাম্প ক্ষমতায় আসতেই ট্যারিফ যুদ্ধে নামে।
সবশেষে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতি ভারতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ, যা শুধু অর্থনীতির উপর প্রভাব ফেলবে না, বরং আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের কূটনৈতিক কৌশলকেও নতুন করে সাজাতে বাধ্য করবে।

Russia Ukrain War: 2022 সালে শুরু, কেন রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ? ভারতের ভূমিকা কী?

Russia Ukrain War history

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ আক্রমণের ঘোষণা করে রাশিয়া। ধারে-ভারে ও আকারে ইউক্রেনের থেকে রাশিয়া অনেক বড়। আর্থিক ক্ষমতা রাশিয়ার অনেক বেশি। কিন্তু তা সত্বেও ২০২৫ সালের শেষের দিকে এসেও ইউক্রেন দখল করতে পারেনি রাশিয়া। বরং একাধিকবার রাশিয়া ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে। তবে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukrain War) প্রভাব ফেলেছে বিশ্ব অর্থনীতিতে, বদলে দিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সমীকরণ এবং জন্ম দিয়েছে এক নতুন ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের সম্পর্কের ইতিহাস

রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুটোই প্রতিবেশি দেশ। আর ইতিহাস সাক্ষী আছে প্রতিবেশি দেশ অধিকাংশ সময়ে ভালো হয় না। এই দুই দেশের ইতিহাস হাজার বছরের পুরোনো। দুই দেশই স্লাভিক জাতির অন্তর্ভুক্ত এবং একটা সময়ে কিভান রুশ নামক একটি শক্তিশালী রাজ্যের অংশ ছিল। ফলে বর্তমানে দুই দেশ একটা সময়ে একসঙ্গে ছিল। এর পর দুই দেশই সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ হয়। সেখানে ইউক্রেন ছিল অন্যতম সফল দেশ। কারণ এই দেশ কৃষি, প্রযুক্তিতে ছিল উন্নত।

African tribe in India: দেশের মধ্যে এক টুকরো আফ্রিকা, চিনে নিন গুজরাটের জাম্বুর গ্রামকে

১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ইউক্রেন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। তবে ইউক্রেনের এই স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি রাশিয়া। তবে শুরুতে সম্পর্ক ভালোই ছিল। ইউক্রেন ১৯৯৪ সালে তাদের পারমাণবিক অস্ত্রাগার ছাড়তে সম্মত হয়ে চুক্তি করে রাশিয়ার সঙ্গে। সেখানে আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো দেশগুলোও ছিল।

কিন্তু সময় যত এগোতে থাকে, ততই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। ইউক্রেনের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশ করা, যাতে NATO-র থেকে সাহায্য মেলে। ইউক্রেনের এই চাহিদা রাশিয়া ভালোভাবে নেয়নি। রাশিয়া মনে করেছে, ইউক্রেনের ক্ষমতা বাড়লে সেটা তাদের জন্য খারাপ হবে। তাই রাশিয়া বারবার বাধা দিয়েছে ইউক্রেনকে। এই পরিস্থিতি খারাপ হয় ২০১৪ সালে। ইউক্রেনে রুশ বিরোধী সরকার আসার পর রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করে এবং ধীরে ধীরে ইউক্রেনে রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সক্রিয় করে।

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ: আর্থিক ক্ষমতা ও সামরিক শক্তি

সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে রাশিয়া ইউক্রেনের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। রাশিয়া বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং তার সামরিক বাজেট ইউক্রেনের তুলনায় অনেক বেশি।

রাশিয়ার আয়ের অন্যতম উৎস হচ্ছে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস। মধ্যপ্রাচ্যের পর রাশিয়ায় সবচেয়ে বেশি তেল পাওয়া যায়। এটাই রাশিয়াকে এগিয়ে রাখে। তবে তারা ইউক্রেনে আক্রমণের পর বিশ্বে একাধিক মহল থেকে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে। ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়ার থেকে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস নিতে অস্বীকার করে এবং একাধিক রুশ ব্যবসায়ীকে ইউরোপে ব্যবসা করতে বাধা দেয়।

শুরুতে রাশিয়া ধাক্কা খেলেও, তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ এতটাই ছিল যে সেটা কোনও সমস্যার কারণই হয়নি। বরং যুদ্ধ অর্থনীতি রাশিয়াকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। যুদ্ধ থেকে রাশিয়ায় চাকরি বাড়ে। রাশিয়া যুদ্ধাস্ত্র বিক্রি করে আয় করতে থাকে এবং সেই টাকা দিয়ে তারা যুদ্ধ করে।

অন্যদিকে ইউক্রেনের আয়ের প্রধান উৎস কৃষিকাজ। সেখানে তারা ধাক্কা খায়। তাদের GDP ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে, একের পর এক শহর ধ্বংস হয়েছে এবং বহু মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছেন। যদিও রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনের অন্যতম ভরসা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকার থেকে পাওয়া সাহায্য। সেটা যতদিন থাকবে ততদিন লড়তে পারবে ইউক্রেন।

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে আমেরিকা ও অন্য দেশগুলির ভূমিকা (Russia Ukrain War)

দুই দেশের লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয় তৃতীয় পক্ষ। রাশিয়া ইউক্রেনের লড়াইয়ে বারবার মাথা ঘামিয়েছে আমেরিকা। কারণ বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে আমেরিকা, রাশিয়া রয়েছে একই সারিতে।

রাশিয়া যখন ইউক্রেন আক্রমণ করে, তখন পশ্চিমা বিশ্ব এর তীব্র নিন্দা জানায় এবং রাশিয়ার উপর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এই নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়ার অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে যুদ্ধ বন্ধে চাপ সৃষ্টি করা। পাশাপাশি, ন্যাটো জোট ইউক্রেনকে সামরিক, আর্থিক এবং মানবিক সহায়তা প্রদান করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সামরিক সরঞ্জাম, যেমন- উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, ট্যাঙ্ক এবং ড্রোন সরবরাহ করে, যা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

ভারতের অবস্থান এবং কৌশল

এই দুই দেশের লড়াইয়ে ভারতের অবস্থান ছিল গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত রাশিয়া ভারতের মিত্র রাষ্ট্র। তেল থেকে অস্ত্র ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। আর ভারত সবসময় নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে যুদ্ধের ক্ষেত্রে। তাই প্রকাশ্যে ভারত রাশিয়া বা ইউক্রেনের পক্ষ নেয়নি। কিন্তু রাশিয়ার থেকে তেল এবং অস্ত্র কেনা চালিয়ে গিয়েছে।

Pakistan Village in Bihar: ভারতের মধ্যে রয়েছে এক টুকরো পাকিস্তান, জানুন ইতিহাস

কেন রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধতে ভারত কোনও পক্ষ নেয়নি?

রাশিয়া ভারতের দীর্ঘদিনের কৌশলগত মিত্র। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম থেকে শুরু করে জ্বালানি সরবরাহ পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রে ভারত রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। রাশিয়ার সঙ্গে এই সম্পর্ক নষ্ট করা ভারতের জন্য কঠিন। যদি নষ্ট করে সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের উপর পুরোপুরি নির্ভর করতে হবে, যেটা আর্থিক দিক থেকে খারাপ।

ভারতের অন্য বন্ধু রাষ্ট্র আমেরিকা। পাশাপাশি ইউরোপের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক রাখতে চায়। ফলে যুদ্ধ নিয়ে কোনও পক্ষের হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। তাই প্রকাশ্যে যুদ্ধের বিরোধীতা করলেও জাতিসংঘের বিভিন্ন ভোটে বিরত থাকে ভারত।

ভারতের এই অবস্থানের নেপথ্যে রয়েছে আর্থিক সুবিধা। কারণ ইউরোপ ও আমেরিকা রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোয় রাশিয়া এখন কম দামে তেল বিক্রি করছে। আর ভারত এটার সুবিধা নিয়ে সস্তায় তেল কিনছে রাশিয়ার থেকে। এই কারণে, কিছু পশ্চিমা দেশ ভারতের সমালোচনা করলেও, ভারত তার নিজস্ব অর্থনৈতিক স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থনৈতিক ধাক্কা

এই যুদ্ধের (Russia Ukrain War) ফলে বিশ্বের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা লেগেছে। খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েছে, পাশাপাশি প্রাকৃতিক গ্যাসও ধাক্কা খেয়েছে। রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই দেশই গম রপ্তানিকারী অন্যতম দেশ। তাই এই যুদ্ধের ফলে সাপ্লাই লাইন ধাক্কা খেয়েছে।

কী হবে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ?

বর্তমানে এই দুই দেশের মধ্যে লড়াইয়ের ফয়সালা হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। দুই পক্ষই তাদের অবস্থানে অনড় এবং সমঝোতায় যেতে চাইছে না। একাধিকবার যুদ্ধবিরতি নিয়ে চুক্তি হলেও সেটা রাশিয়া দ্রুত ভেঙে দিয়েছে। তবে এই যুদ্ধে ইউক্রেনের পাল্টা লড়াইয়ের থেকে রাশিয়া একটা শিক্ষা পেয়েছে। ক্ষমতা ও আয়তনে ছোট হলেই তাদের খাটো করে দেখা উচিত নয়।


FAQ

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের মূল কারণ কী?

এই সংঘাতের শিকড় অনেক গভীরে, যা সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ হিসেবে দুই দেশের দীর্ঘ ইতিহাস থেকে শুরু হয়। ১৯৯১ সালে ইউক্রেনের স্বাধীনতার পর উত্তেজনা বাড়তে থাকে, যখন ইউক্রেন পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে এবং ন্যাটোতে যোগদানের আগ্রহ দেখায়। ২০১৪ সালে সংঘাত তীব্র হয় যখন রাশিয়া ক্রেমিয়া দখল করে এবং পূর্ব ইউক্রেনে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন দেয়। পূর্ণাঙ্গ আক্রমণ শুরু হয় ২০২২ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি।

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি কী?

যুদ্ধ এখনও চলছে এবং লড়াই মূলত পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনে কেন্দ্রীভূত। রাশিয়া এই অঞ্চলগুলোর বেশিরভাগ অংশ দখল করে আছে, তবে ইউক্রেন তাদের ভূমি পুনরুদ্ধারের জন্য পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছে। এই যুদ্ধের ফলে ভয়াবহ মানবিক সংকট, অবকাঠামোর ব্যাপক ধ্বংস এবং উভয় পক্ষেই অসংখ্য হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

এই যুদ্ধে ভারতের অবস্থান কী?

ভারত একটি নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে এবং রাশিয়াকে সরাসরি নিন্দা জানানো থেকে বিরত থেকেছে। ভারত সংলাপ ও কূটনীতির মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। ভারতের এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে রাশিয়ার সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের কৌশলগত সম্পর্ক।

Best Places for Shopping in Kolkata: পুজোর বাজার করতে যাবেন? চিনে নিন কলকাতায় শপিংয়ের সেরা 6 জায়গা

Best Places for Shopping in Kolkata know details

সেপ্টেম্বর মাসেই দুর্গাপুজো। হাতে আর একমাসের কিছু বেশি সময় রয়েছে। পুজোয় কবে কোন ঠাকুরটা দেখবেন সেটার জন্য হাতে মেলা সময় রয়েছে। কিন্তু যেটার জন্য সময় নেই তা হলে শপিং। এখন থেকে শপিং শুরু না করলে শেষ বেলায় গিয়ে দৌড়দৌড়ি আর ভিড়ের মধ্যে পড়তে হবে। এই প্রতিবেদনে দেশে নিন কলকাতার সেরা শপিং ডেস্টিনেশন (Best Places for Shopping in Kolkata)।

কলকাতার সেরা শপিং ডেস্টিনেশন: কোথায় কেনা যায় সবকিছু?

কলকাতা শুধুমাত্র সাহিত্য, সংস্কৃতি বা রান্নার শহর নয় এটি হলো শপহলিকদের স্বর্গ। এখানে যেমন ব্রিটিশ আমলে তৈরি বাজার রয়েছে, তেমনই রয়েছে আধুনিক মল বা ছোট ব্যবসায়ীর দোকান। আপনার বাজেট যেটাই হোক না কেন, কলকাতা সবার জন্য রয়েছে।

দেখে নিন কলকাতার সেরা শপিং ডেস্টিনেশনগুলি

নিউ মার্কেট বা হগ মার্কেট

এটার আদি নাম হগ সাহেবের মার্কেট হলেও এটি নিউ মার্কেট নামেই জনপ্রিয়। দেশ, বিদেশের যেই প্রান্ত থেকেই মানুষ কলকাতায় আসুন না কেন, একবার নিউ মার্কেটে তিনি যাবেনই।

বলা হয়, নিউ মার্কেটে যেটা পাওয়া যায় না, সেটা কলকাতা বা রাজ্যের কোথাও পাওয়া মুশকিল (Best Places for Shopping in Kolkata)।

Shaheed Minar Kolkata: সেলিব্রেশন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উৎসর্গ, জেনে নিন 200 বছরের স্থাপত্যের ইতিহাস

এই মার্কেট ব্রিটিশ যুগে শুধুমাত্র সাদা চামড়ার মানুষদের জন্য ছিল। পরে সেটা সকলের জন্য় খুলে দেওয়া হয়। এখানে নথিভুক্ত দোকানের সংখ্যা ২ হাজারেরও বেশি। শাড়ি, ইলেকট্রনিক্স, মুদিখানা থেকে শুরু করে ঘর সাজানো সবকিছুই পাওয়া যায়। পাকা দোকানের পাশাপাশি ফুটপাথেও অনেক দোকান বসে।

কেন এটা সবথেকে আলাদা?

  • বাজেট‑ফ্রেন্ডলি, ও সবরকম সামগ্রীর বিশাল সংগ্রহ।
  • এরসঙ্গে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী দোকান। যেমন, Nahoum’s bakery, Nizam’s Mughlai eatery.

কী ভাবে নিউ মার্কেট যাবেন?

মেট্রোতে এসপ্ল্যানেড বা পার্কস্ট্রিট স্টেশনে নেমে বাইরে বেরোলেই আপনি নিউ মার্কেট পাবেন।

গড়িয়াহাট মার্কেট

  • দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় বাজার। তবে নিউ মার্কেটের মতো এখানে এক ছাতার তলায় সব নেই। গড়িয়াহাট, গোলপার্কের ফুটপাথে একাধিক দোকান রয়েছে। সব মিলে তৈরি হয়েছে গড়িয়াহাট মার্কেট।
  • এখানে শাড়ি থেকে মেহেন্দি, ছোটদের পোশাক, ঘর সাজানো, আচার, সাজার জিনিস সবকিছু পাওয়া যায়।

গড়িয়াহাট মার্কেটের অন্যতম ভালো দিক হচ্ছে এখানে আপনি দরাদরি করতে পারবেন। যে যত ভালো দরাদরি করতে পারেন, তাঁর তত বেশি লাভ। শপিং করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেলে, গড়িয়াহাট ব্রিজের নিচে বসে দাবা খেলাও দেখতে পারেন।

Best Places for Shopping in Kolkata

কীভাবে গড়িয়াহাট মার্কেট যাবেন?

  • ট্রেনে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় বালিগঞ্জ স্টেশনে নেমে ২ মিনিটের হাঁটাপথ।
  • মেট্রোতে এলে কালীঘাট স্টেশনে নেমে একটা অটো নিয়ে গড়িয়াহাট আসতে হবে। বাসে এলে গড়িয়াহাট বা গোলপার্ক স্টপেজ

বড়বাজার

এটা ভারতের অন্যতম বড় হোলসেল মার্কে। এখান থেকে জিনিস কিনে লোকে তাদের দোকানে বিক্রি করে। এমজি রোড স্টেশনের পাশে অবস্থিত বড় বাজার। পূর্ব ও উত্তরপূর্ব ভারতের একাধিক জায়গায় গড়িয়াহাট থেকে জিনিস যায়।

তবে একটা বা দুটো জিনিসের জন্য গড়িয়াহাট আদর্শ হবে না। অনেক জিনিস কিনতে গেলে গড়িয়াহাট আদর্শ। অনেক কম দামে পাওয়া যাবে জিনিস।

পেটের মেদ কমানোর উপায়, জেনে নিন 5 পয়েন্টে

দক্ষিণাপন (Dakshinapan Shopping Complex)

  • রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গড়ে ওঠা হ্যান্ডক্রাফট ইন্ডিয়া বুকিং কমপ্লেক্স।
  • এখানে রয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের হস্তশিল্প, হ্যান্ডলুম পোশাক, টেরা কোটা, চামড়ার সামগ্রী, এবং ইমিটেশনের সামগ্রী।

এখানে হাতের কাজের অনেক সামগ্রী পাওয়া যায়। আপনি যদি ঘর সাজাতে ভালোবাসেন, তা হলে এটা আপনার ফেভারিট জায়গা হবে।

কী ভাবে দক্ষিণাপন যাবেন?

শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় ঢাকুরিয়া স্টেশনে নেমে ২ মিনিটের হাঁটাপথ। গড়িয়াহাট থেকে বাস রয়েছে।

সাউথ সিটি মল

দক্ষিণ কলকাতায় অবস্থিত বৃহত্তম মল। ১৩০-এর বেশি দোকান রয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে সিনেমা হল, ফুড কোর্ট। কম দামের মধ্যে প্রিমিয়াম কোয়ালিটির জিনিস পাওয়া যায় এখানে।

এছাড়াও মানি স্কয়্যার মল, কোয়েস্ট মল রয়েছে তালিকায়। এখানে জিনিসের দাম কিছুটা হলেও বেশি। ফলে অনেকের কাছে পছন্দ হবে না।

হাতিবাগান মার্কেট

  • শ্যামবাজার থেকে কলেজ স্ট্রীট পর্যন্ত রাস্তার নাম বিধান সরণী। এটি হাতিবাগান মার্কেট নামে পরিচিত।
  • এই মার্কেটে সিল্ক শাড়ি, ইমিটেশনের অলঙ্কার রয়েছে। গড়িয়াহাটের মতো এখানেও আপনাকে দরদাম করতে হবে।

কলকাতা শপিং করতে এলে কী কী খেয়াল রাখবেন?

  • আপনি যদি কলকাতায় আগে শপিং করে থাকেন তা হলে তো কথাই নেই। নতুন হলে সবার আগে মাথায় রাখুন, আপনাকে দরদাম করতে হবে।
  • আগে পুরো মার্কেট ঘুরে দেখে নিন আপনার দরকারি জিনিস কোথায় রয়েছে। দাম জিজ্ঞাসা করে নিন।
  • এরপর নেমে পড়ুন কিনতে।
  • জিনিস কিনে পেমেন্ট করার আগে ভালো করে সেটা দেখে নেবেন, কারণ এখানে জিনিস বদল খুব কম দোকানে হয়। পাশাপাশি ফুটপাথের দোকান হওয়ায় খারাপ জিনিস থাকার সম্ভাবনাও থাকে।
  • চেষ্টা করবেন ক্যাশ নেওয়ার। অধিকাংশ দোকানেই অনলাইন চলে না।
  • নিজে একটা বড় ব্যাগ রাখবেন, কেনাকাটার পর সেটা নিতে সুবিধা হবে। এখানে সব দোকানে আপনাকে পলিথিন দেবে।

FAQ

কলকাতায় সস্তায় শপিং করার জন্য কোন জায়গা সবচেয়ে ভালো?

নিউ মার্কেট, গড়িয়াহাট, ও হাতিবাগান – এই তিনটি এলাকায় সস্তা ও দরদাম করে কেনাকাটা করা যায়।

কলকাতায় ট্র্যাডিশনাল ও হ্যান্ডলুম শাড়ি কোথায় পাওয়া যায়?

দক্ষিণাপন শপিং কমপ্লেক্স, নিউ মার্কেট ও কলেজ স্ট্রিট সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন রাজ্যের হ্যান্ডলুম শাড়ি পাওয়া যায়।

নিউ মার্কেট কী করে যাব? নিউ মার্কেটের ম্যাপ

মেট্রোতে এসপ্ল্যানেড বা পার্কস্ট্রিট স্টেশনে নেমে বাইরে বেরোলেই আপনি নিউ মার্কেট পাবেন। বাসে এলে ধর্মতলা বাস স্ট্যান্ড বা নিউ মার্কেট বলতে হবে।

গড়িয়াহাট কী করে যাব?

ট্রেনে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় বালিগঞ্জ স্টেশনে নেমে ২ মিনিটের হাঁটাপথ।
মেট্রোতে এলে কালীঘাট স্টেশনে নেমে একটা অটো নিয়ে গড়িয়াহাট আসতে হবে। বাসে এলে গড়িয়াহাট বা গোলপার্ক স্টপেজ।

Shaheed Minar Kolkata: সেলিব্রেশন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উৎসর্গ, জেনে নিন 200 বছরের স্থাপত্যের ইতিহাস

Shaheed Minar Kolkata history details

আপনি যদি কলকাতার বাসিন্দা হন বা কলকাতার ব্যাপারে জেনে থাকেন, তা হলে শহিদ মিনার নামটা আপনি নিশ্চই শুনেছেন। কলকাতা সহ ভারতের ইতিহাসে শহিদ মিনার নামটা জুড়ে রয়েছে। কেন তৈরি হলো এই শহিদ মিনার? কে বা কারা তৈরি করল? বর্তমানে এটির ভূমিকা কী? এই প্রতিবেদনে জেনে নিন কলকাতার ধর্মতলায় দাঁড়িয়ে থাকা শহিদ মিনারের ইতিহাস (Shaheed Minar Kolkata history)।

শহিদ মিনারের ইতিহাস (Shaheed Minar Kolkata history)

১৮২৮ সলে এটি তৈরি করে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বা ইংরেজরা। সালটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে, সেই সময়ে ছিল ইংরেজদের রাজত্ব। শুরুতে এটির নাম ছিল Ochterlony Monument. এটা মেজর জেনারেল স্যর ডেভিড অক্টোরলোনিকে উৎসর্গ করে তৈরি করা হয়। ১৮০৪ সালে গোর্খা ও অ্যাংলো নেপলেস যুদ্ধে দিল্লি দখল হওয়ার হাত থেকে তিনি বাঁচিয়েছিলেন, সেই কারণে ব্রিটিশ সরকার এই অক্টোরলোনিক মনুমেন্ট তৈরি করে।

কে তৈরি করেছিলেন শহিদ মিনার?

স্থপতিবিদ জেপি পারেখ ছিলের এটি তৈরির নেপথ্যে। নকশার মধ্যে রয়েছে মিশরের ফোয়ারা, সিরিয়ান থাম্প, ও তুরষ্কের ডোম। অর্থাৎ, এই তিনটে দেশের কারুকার্য ব্যবহার করা হয়েছে এটি বানাতে।

কী করে Ochterlony Monument থেকে এটির নাম শহিদ মিনার হলো?

১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর ১৯৬৯ সালের ৯ অগস্ট তৎকালীন ভারত সরকার এই Ochterlony Monument-এর নাম বদলে রাখে শহিদ মিনার। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উৎসর্গ করে এটির নাম বদল করা হয়।

শহিদ মিনারের উচ্চতা

আমেরিকার লেখক মার্ক টোয়েন (Mark Twain) এটিকে Cloud-kissing monument বা মেঘচুম্বী মিনার বলে বর্ণনা করেছেন এটির উচ্চতার জন্য। এটির উচ্চতা ১৫৭ ফিট বা ৪৮ মিটার।

শহিদ মিনারে ওঠা যায়?

আসলে এটা বাইরে থেকে একটা থাম্ব মনে হলেও এটির ভিতরে প্রবেশ করা যায়। একটা সময় পর্যন্ত সাধারণকে প্রবেশ করতে দেওয়া হতো। শহিদ মিনারের নিচ থেকে উপরে যাওয়ার জন্য রয়েছে ২১৮ থেকে ২২৩টা সিঁড়ি। যদিও একদম উপর পর্যন্ত যেতে দেওয়া হতো না নিরাপত্তার জন্য।

তবে ২০১১ সালে রাজ্য সরকার এটিকে সংষ্কার করার পর দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়। ফলে ৪৮ মিটার উঁচু জায়গা থেকে শহর দর্শনের মজা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষরা।

বিশেষজ্ঞরা জানান, ২০১১ সালে আগে শহিদ মিনার রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভুগছিল। সেটাকে রক্ষণাবেক্ষণ শুরু করার পর তাতে মানুষের চাপ পড়লে হিতের বিপরীত হবে। সেই কারণে এটিকে বন্ধ করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন অনেকে (Shaheed Minar Kolkata history)।

ডেকার্স লেন: রাস্তা নয়, কলকাতার স্ট্রিট ফুড স্বর্গ

শহিদ মিনার ও রাজ্য রাজনীতি

এটা বুঝতে গেলে আপনাকে বুঝতে হবে শহিদ মিনারের অবস্থান। শহিদ মিনার বা অনেকের কাছে যেটা মনুমেন্ট সেটা অবস্থিত কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডের ঠিক পাশেই। মনুমেন্টে যেতে গেলে আপনি ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডের ভিতর দিকে হেঁটে আসতে পারে, আবার ক্যালকাটা স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবের সামনে দিয়ে হেঁটে যেতে পারেন।

শহিদ মিনার থেকে ব্রিগেড ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে। এ ছাড়াও শহিদ মিনারের পাশে রয়েছে বিশাল বড় খালি জায়গা। এর একটা অংশ ব্যবহার করে হাওড়া ইউনিয়ন ও ভবানীপুর ক্লাব। বাকি অংশটা ব্যবহৃত হয় মিছিল র‌্যালির জন্য। ফলে বছরের অধিকাংশ সময়ে শহিদ মিনার চত্বরে মিছিল, বিক্ষোভ চলতেই থাকে। প্রতিটা রাজনৈতিক দল বা নেতানেত্রী এখানে একবার হলেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
তবে শহিদ মিনারে প্রথম রাজনৈতিক বিক্ষোভ দেখান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯৩১ সালে তিনি একটি সমাবেশে নেতৃত্ব দেন।

বর্তমানে শহিদ মিনারের ব্যবহার

বর্তমানে শহিদ মিনার একটা আকর্ষণ হয়ে রয়েছে। বিশেষ দিনে রাজ্য সরকার এটিতে আলো জ্বালায়। শহিদ মিনারের চারপাশটা লোহার গ্রিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে রয়েছে বিভিন্নরকমের গাছে। মিনারের পাশে রয়েছে বসার বেঞ্চ। দুপুরে অনেকে এখানে বিশ্রাম নেন।

তবে সাধারণ মানুষের হাতে নোংরা হচ্ছে শহিদ মিনার। যেহেতু এর পাশে অনেকে বিশ্রাম নেন তাই তাদের জন্যই নোংরা হয়। ময়লা, থুতু, সিগারেট ফেলা চলতেই থাকে। এরসঙ্গে অনেকে শহিদ মিনারের পাশে বাথরুম, পায়খানা করে নোংরা করেন। দিনের শেষে মানুষের মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় না হলে এগুলো বাঁচিয়ে রাখা যাবে না।

Pakistan Village in Bihar: ভারতের মধ্যে রয়েছে এক টুকরো পাকিস্তান, জানুন ইতিহাস

কীভাবে কলকাতা শহিদ মিনারে যাবেন?

কলকাতা মেট্রোতে এসপ্ল্যানেড স্টেশনের যেকোনও গেট থেকে বেরোলে ২০০-৩০০ মিটার হাঁটলেই পাবেন শহিদ মিনার
বাসে করে গেলে আপনাকে ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে। প্রতিটা বাসই সেখান দিয়ে যায়।

শহিদ মিনার শুধু ব্রিটিশদের একটি মাইলফলক নয় (Shaheed Minar Kolkata history), এটি কলকাতার ইতিহাসে ব্রিটিশ সময়কাল থেকে স্বাধীনতা পর্যন্ত সংষ্কৃতির বদলের একটা প্রমাণ। এখানে যেমন আছে যুদ্ধজয়ের ইতিহাস, তেমনই রয়েছে দেশের জন্য প্রাণ দেওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামীদের রক্ত। আবার বর্তমানে এখানে রয়েছে স্লোগান, র‌্যালি, রাজনৈতিক পতাকা। সব মিলিয়ে শহিদ মিনার একটা আস্ত ইতিহাস। তাই আপনি কলকাতা ঘোরার প্ল্যান করলে একবার শহিদ মিনারে এসে ঘুরে দেখতেই পারেন।


FAQ of Saheed Minar Kolkata

শহিদ মিনার কোথায় অবস্থিত?

কলকাতার ধর্মতলা বাসস্ট্য়ান্ডের পাশে অবস্থিত শহিদ মিনার।

শহিদ মিনারের উচ্চতা কত?

১৫৭ ফিট বা ৪৮ মিটার

শহিদ মিনার কে তৈরি করেন?

স্থপতিবিদ জেপি পারেখ ছিলের এটি তৈরির নেপথ্যে। নকশার মধ্যে রয়েছে মিশরের ফোয়ারা, সিরিয়ান থাম্প, ও তুরষ্কের ডোম। অর্থাৎ, এই তিনটে দেশের কারুকার্য ব্যবহার করা হয়েছে এটি বানাতে।

শহিদ মিনারের ইতিহাস

১৮২৮ সলে এটি তৈরি করে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বা ইংরেজরা। সালটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে, সেই সময়ে ছিল ইংরেজদের রাজত্ব। শুরুতে এটির নাম ছিল Ochterlony Monument. এটা মেজর জেনারেল স্যর ডেভিড অক্টোরলোনিকে উৎসর্গ করে তৈরি করা হয়। ১৮০৪ সালে গোর্খা ও অ্যাংলো নেপলেস যুদ্ধে দিল্লি দখল হওয়ার হাত থেকে তিনি বাঁচিয়েছিলেন, সেই কারণে ব্রিটিশ সরকার এই অক্টোরলোনিক মনুমেন্ট তৈরি করে।

কী করে যাবেন শহিদ মিনার?

কলকাতা মেট্রোতে এসপ্ল্যানেড স্টেশনের যেকোনও গেট থেকে বেরোলে ২০০-৩০০ মিটার হাঁটলেই পাবেন শহিদ মিনার
বাসে করে গেলে আপনাকে ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে। প্রতিটা বাসই সেখান দিয়ে যায়।

শহিদ মিনার দেখতে টাকা লাগবে?

না। বিনামূল্যে দেখা যায়। কিন্তু প্রবেশ করা যায় না।

পেটের মেদ কমানোর উপায়, জেনে নিন 5 পয়েন্টে

পেটের মেদ কমানোর উপায়

বর্তমানে কর্মব্যস্ত জীবনে নিজের জন্য় সময় কমে গিয়েছে। পেশাদার জীবনে প্রবেশ করলেই শুরু হয়ে যায় দৌড়। আগা পাশ তলা না দেখে শুধু দৌড় আর দৌড়। আর এই দৌড়ের মধ্যে দিয়ে শরীরের একটা অংশ ক্রমশ বাড়তে থাকে। সেটা হলো পেট, গোদা বাংলায় যাকে ভুঁড়ি বলি। এটা যেমন দ্রুত বাড়ে, তেমনই ধীর গতিতে কমে। এই প্রতিবেদনে জেনে নিন পেটের মেদ কমানোর উপায় (Reduce Belly Fat)। পুরোটাই ঘরোয়াভাবে করতে পারবেন, ফলে খুব একটা বেশি সময়ও লাগবে না।

পেটের মেদের ধরন ও সেটা থেকে আসা বিপদ

ভুঁড়ি কমানোর আগে ভুঁড়ি নিয়ে জানা দরকার। পেটের চর্বি দুই ধরনের হয়ে থাকে

  • Subcutaneous fat: এটা ত্বকের নিচে জমে থাকে, ফলে ওজন বেশি হয় ও সহজে বোঝা যায় না
  • Visceral fat: শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে চারপাশে জমে থাকে এবং এটি সবচেয়ে বিপজ্জনক

এই visceral fat-এর ফলে হৃদরোগ, টাইপ টু ডায়াবিটিস, স্ট্রোক ও মেটাবলিক সিনড্রোমের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

পুষ্টিবিদের পরামর্শ

এই বিষয়ে একাধিক পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসক সতর্ক করেছেন। যেমন ওবেসিটি, মোটাবোলিক মেডিসিন ও ক্লিনিকাল নিউট্রিশনের বিশেষজ্ঞ ডঃ অঞ্জলি হুডা পরামর্শ দিয়েছে। জানান, চিনি, কার্বস, পাস্তা ও পাউরুটি কম খেতে হবে। বদলে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। প্রোটিন পেশি গঠনে সাহায্য করে।

বলিউড অভিনেত্রী করিনা কাপুরের ডায়েটিশিয়ান আর রাজুতা দ্বিয়েকর Portion control-এর দিকে জোর দেন। তাঁর মতে, সবকিছুই যদি পরিমাণ বুঝে খাওয়া যায় তা হলে সমস্যা হয় না।

পেটের মেদ কমানোর উপায় (Reduce Belly Fat)

ব্যালেন্স প্লেট কনসেপ্ট

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন প্রতিদিনের খাবারের প্লেটে যেন সবকিছুর ভারসাম্য বজায় থাকে। অর্ধেক ফল ও সবজি, এক চতুর্থাংশ প্রোটিন এবং এক চতুর্থাংশ কমপ্লেক্স কার্বস (ভাত বা রুটি) থাকে।

এতে শরীর একসঙ্গে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন, কার্বস সবই পাবেন।

Portion Control নীতি কী?

  • খাবার তুলনামূলকভাবে কম খান
  • ভরপেট খাবেন না। ৭৫‑৮০% খান, আর বাকিটা খালি রাখুন
  • দুটো খাবারের মাঝে বিরতি দিন

মিষ্টি এড়িয়ে চলুন

  • মিষ্টি, বিস্কুট, পাউরুটি বা পাস্তা, চিনি দেওয়া চা বা সোডা এড়াতে হবে
  • এগুলো আপনার শরীরের ইনস্যুলিন বাড়িয়ে দিয়ে শর্করাকে ফ্যাটে রূপান্তরিত করে

ঘরোয়াভাবে পেটের মেদ কমানোর উপায়

এই কয়েকটা খাবার আপনার বাড়িতে থাকলেই হলো। সেগুলো মিলিয়ে মিশিয়ে খেলে আপনার ভুঁড়ি অনেকটাই কমবে।

  • ডিম, মুসুর ডাল, ওটমিল, মুগ ডাল: ফাইবার ও প্রোটিনের ভালো উৎস, এতে পেটটা ভরা থাকে।
  • ফুলকপি, ব্রকোলি, রাগি: কম ক্যালোরি ও হাই ফাইবারে ভরা

গ্যাস-অম্বল থেকে মুক্তি, ঘরেই বানিয়ে ফেলুন ম্যাজিক ড্রিঙ্ক

লো ফ্যাট ডায়েট:

ফ্যাট‑মুক্ত দই বা বাটারমিল্ক খুব কার্যকরি। এটা খিদে কমায়। পাশাপাশি পেটের গুড ব্যাকটেরিয়াকে সক্রিয় করে হজমে সাহায্য করে।

স্বাস্থ্যকর ফ্যাট:

বাদাম, চিয়া সিড, অলিভ অয়েল ও নারকেল তেল: এ গুলো শরীরে উপযোগী ফ্যাট সরবরাহ করে যা ঢেকুর ওঠা, গ্যাস হওয়ার কমায়।

ডিটক্স ড্রিঙ্ক:

  • গ্রিন টি + লেমন: মেটাবলিজ়ম বাড়ায়। এতে থাকে অ্য়ান্টিঅক্সিড্যান্ট। শরীরের টক্সিনগুলো বের করতে সাহায্য করে।
  • আদা চা: হজম উন্নত করে, ব্লোটিং ও গ্যাস কমায়।
  • হলুদ চা: হলুদ চর্বি গলাতে সাহায্য করে।

শরীর চর্চাও গুরুত্বপূর্ণ পেটের মেদ কমানোর জন্য

হাঁটা ও ব্যায়াম:

দৈনিক ৩০-৪৫ মিনিট হাঁটুন। খাবারের পর একটু হালকা হাঁটা ও খুব দ্রুত গতিতে হাঁটা দরকার।


স্ট্রেংথ ট্রেনিং:

সপ্তাহের তিন থেকে চারদিন এটা করতে পারে। তালিকায় থাকবে স্কয়্যাট, লাঞ্জেস, পুশ আপ, ডেড লিফট (যদি কোমরে সমস্যা না থাকে)। এর সঙ্গে কার্ডিও করতে হবে। এতে দ্রুত ক্যালোরি বার্ন করে ও এতে চর্বিও কমে।

ব্যায়ামের পাশাপাশি যোগচর্চাও গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ৩০ মিনিট যোগা করতে পারলে আপনার উপকার হবে।

জিমে যাচ্ছেন? এই পাঁচ কাজ করলেই বিপদ

ঘুম ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম:

খাবার, ব্যায়াম করতে গেলে যেই শক্তিটা লাগবে সেটা আসবে ঘুম থেকে। প্রতিদিন ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম দরকার। ঠিকঠাক ঘুম না হলে হজম হবে না। সারাদিন ঝিমুনি থাকলে আপনি নিজের সেরাটা দিতে পারবেন না।

তবে কোনও কিছুই রাতারাতি হয় না। তাই এই পদ্ধতিগুলো মেনে চলার পরেও অপেক্ষা করুন। টানা মেনে চললে ৩-৪ মাসের মধ্যেই আপনি ভালোমতো ফল দেখতে পারেন। তবে সবকিছুর শেষে দরকার শৃঙ্খলা, এটা না এলে আপনি যেটাই খান না কেন উপকার পাবেন না। সারাদিন মেনে চললেন আর মাঝে একটা তেলেভাজা খেয়ে নিলেন, এতে হিতের বিপরীত হবে। ফলে নিজের মুখ ও মনকে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। নয়তো সব পরিশ্রম মাঠে মারা যাবে।

তথ্যসূত্র:
Dr Anjali Hooda’s advice on belly fat reduction
Aaj Tak
PopXO
Times of India


FAQ

পেটের মেদ কমানোর ঘরোয়া উপায় কী কী?

ঘুম ঠিক রাখা, হালকা ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। বিশেষ করে ওটস, লেবুর জল, মেথির জল ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে।

ভুঁড়ি কমানোর জন্য কী খাওয়া উচিত?

প্রাকৃতিক খাবার যেমন-
লেবুর জল, গ্রিন টি, ওটস, সেদ্ধ ডিম, ছোলা, মেথির জল, টক দই

ভুঁড়ি বাড়ার কারণ কী?

অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড, মিষ্টি খাওয়া, মানসিক চাপ, কম ঘুম, এবং লম্বা সময় ধরে এক জায়গায় বসে থাকা। এগুলো মেটাবলিজম কমিয়ে দেয়।

দিনে ক’বার খেলে ওজন কমবে?

দিনে ৫–৬ বার অল্প অল্প করে খেলে হজম ভালো হয় এবং শরীর বেশি ক্যালোরি বার্ন করে।

রাতে কী খেলে পেটের মেদ কমবে?

রাতে হালকা খাবার খান যেমন সেদ্ধ সবজি, স্যুপ, রুটি ও স্যালাড। দুধ বা টক দই ও ভালো।

ভুঁড়ি কমানোর জন্য ব্যায়াম

হাঁটা (৩০ মিনিট)
প্ল্যাঙ্ক
সিট-আপ
সাইক্লিং
স্লো স্কোয়াট

পেটের মেদ কমাতে কতদিন সময় লাগে?

আপনার জীবনযাপন এবং খাদ্যাভ্যাসের ওপর নির্ভর করে। গড়ে ২–৩ মাস নিয়মিত অভ্যাসে পরিবর্তন আনলেই ফল পাওয়া যায়।

পেটের মেদ কমানোর ঘরোয়া পানীয় কী?

মেথির জল, লেবু ও মধু মিশ্রিত গরম জল, শসার জল, আদা চা

African tribe in India: দেশের মধ্যে এক টুকরো আফ্রিকা, চিনে নিন গুজরাটের জাম্বুর গ্রামকে

details about siddi community the African tribe in India

নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধানের দেশ ভারত। এখানে যেমন একাধিক ভাষা আছে, তেমনই রয়েছে বিভিন্ন বর্ণের মানুষ। এই দেশে যেমন রয়েছেন ওপার বাংলা থেকে দেশভাগের সময় আসা মানুষ, তেমনই রয়েছে বিদেশি মুসলিম শাসকদের বংশের মানুষরাও। আপনাকে যদি বলি এই দেশে রয়েছে একটা ছোট্ট আফ্রিকা। অবাক হবেন? ঠিক ভারতের মধ্যে একটু পাকিস্তানের মতো রয়েছে এক টুকরো আফ্রিকা। জেনে নিন সেই আফ্রিকান জনজাতির (African tribe in India) ব্যাপারে।

ভারতে কোথায় থাকে আফ্রিকান জনজাতির মানুষরা?

গুজরাটের গির সোমনাথ জেলার একটা গ্রাম জাম্বুরা। যেই গ্রামে ঢুকলে আপনার মনে হবে আফ্রিকার কোনও পিছিয়ে পড়া গ্রামে প্রবেশ করেছেন। এই গ্রামে থাকে সিদ্দি সম্প্রদায়ের মানুষ। যারা আফ্রিকান বংশোদ্ভূত। অর্থাৎ তারা হলো African tribe in India.

শুধু গুজরাট নয়, ভারতের পশ্চিম বা দক্ষিণ পশ্চিমের একাধিক রাজ্যে এই সিদ্দি জনজাতির বাসস্থান। সেখানে গুজরাটের জাম্বুরা গ্রামে সংখ্যাটা বেশি।

Pakistan Village in Bihar: ভারতের মধ্যে রয়েছে এক টুকরো পাকিস্তান, জানুন ইতিহাস

ভারতে কী ভাবে তৈরি হলো আফ্রিকানদের এই গ্রাম?

আদতে সিদ্দি হলেও এদের আগে বলা হতো বাদশাহ। পরে ভারত সরকার এদের সিদ্দি জনজাতিতে অন্তর্ভুক্ত করে। এই জনজাতির প্রধান ভাষা হচ্ছে বান্টু। এখানকার মানুষ প্রধানত ইথিওপিয়া, কেনিয়া, তানজানিয়া, মোম্বাসা এবং উগান্ডা বংশোদ্ভূত। বর্তমানে যারা আছে তাদের প্রত্যেকেরই জন্ম ভারতে, কিন্তু তাদের কয়েক প্রজন্ম আগে ভারতে চলে আসে। আজ থেকে প্রায় ৯০০ বছর আগে নানা পর্যায়ে তাদের ভারতীয় উপমহাদেশে নিয়ে আসা হয়। ইতিহাসবিদদের মতে, কিছু সিদ্দি মুসলিমকে আরব ব্যবসায়ীরা দাস হিসেবে নিয়ে আসেন, যারা পরে মুক্তি পেয়ে ভারতে মিশে যান।

এদের মধ্যে আবার অনেককে যুদ্ধবন্দী, সামরিক দাস, বংশানুক্রমিক দাস হিসাবে পর্তুগিজ ও পরে ইংরেজরা নিয়ে আসে। তারাই ভারতে বসবাস শুরু করে এবং এখানে বংশ বিস্তার করতে থাকে।

এই সিদ্দিদের দেখা যাবে দাক্ষিণাত্য, গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে।

African tribe in India-দের জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি

ভাষা ও ধর্মীয় আচরণ

তাদের ভাষা বান্টু হলেও এরা যে যেখানে থাকে সেখানকার ভাষা আয়ত্ত্ব করে নেয়। নিজেরা হিন্দি, মারাঠি, গুজরাটি, কন্নড়, ঊর্দুভাষা শিখে নিয়েছে। নিজেদের মধ্যে বান্টু ভাষায় কথা বললেও বাইরে সেটা বলেন না।

তাঁদের উপাসনা, বিয়ে, বেশিরভাগ ভারতীয় রীতিচর্চা থাকলেও, নৃত্য ও সুরের ভাষায় আফ্রিকার আত্মা মিশে আছে।

১৯২১ থেকে ২০২৫, বাঙালির আবেগের বড় ম্যাচ, ফিরে দেখা কলকাতা ডার্বির ইতিহাস

পোশাক ও দৈনন্দিন চরিত্র

অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও সিদ্দিরা সবসময়ে আনন্দে থাকে। যেমন গুজরাটের জাম্বুর গ্রামের মানুষদের পেশার অন্যতম হচ্ছে পর্যটকদের নাচ, গান দেখানো। মহিলারা শাড়ি, ব্লাউজ বা ফ্রক পরে থাকেন। কখনও আফ্রিকান ধাঁচের ঝলমলে কাপড়েও দেখা যায়।
ছেলেরা প্যান্ট-শার্ট পরতেই বেশি পছন্দ করেন। এই জাতির মানুষদের গায়ের রং কালো হয়। মুখ ও দেহের গড়ন আফ্রিকানদের মতো।

সিদ্দি জনজাতির খাদ্যাভাস

তাদের খাদ্য তালিকায় ভারতীয় রান্নার ছাপ স্পষ্ট। তালিকায় রয়েছে শাক, ভুট্টা থেকে তৈরি রুটি, মাছ, মাংস, ভাত, ডাল। এরসঙ্গে যোগ হয় আফ্রিকান মশলা। তবে বিয়ে বা কোনও উৎসবের সময়ে আফ্রিকান একাধিক পদ বানানো হয়।

সিদ্দিদের বর্তমান অবস্থা

Unfiltered By Samdish চ্যানেলে আপলোড করা সিদ্দিদের নিয়ে তৈরি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে গুজরাটের জাম্বুর গ্রামে পরতে পরতে দারিদ্রতা। গ্রামের কাঁচা রাস্তা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা, ইতি উতি ময়লা ফেলার ছবি সাধারণ। বর্ষাকালে পুরো গ্রাম হয়ে যায় জলাশয়। বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়া বা দৈনন্দিন কাজের জন্য যাওয়া তখন কঠিন হয়ে পড়ে। একাধিক কাঁচা বাড়ি থাকায় সেটা ভেঙেও পড়ে। শৌচালয়ের জল ঘরে ঢুকে যায় বর্ষাকালে। পাশাপাশি গ্রামে সিংহের উপদ্রবও রয়েছে।

গ্রামবাসীরা জানালেন, গ্রামে ২৫ বছর আগে বিদ্যুৎ প্রবেশ করলেও সেটা হাতে গোনা কয়েকটা বাড়িতে আছে। যাদের আর্থিক ক্ষমতা রয়েছে তারা টাকা খরচ করে মিটার নেন। যদিও তাতেও তাদের সুরাহা নেই। দিনে ৬-৭ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামের একজন পঞ্চায়েত প্রধান থাকলেও সেখানে সিদ্দিদের উন্নতির জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জাতপাত। যেহেতু সিদ্দি সম্প্রদায় ও মুসলিম তাই গ্রামের উচ্চ বংশ তাদের ধর্তব্যের মধ্যে ধরে না। তবে সিদ্দিরা নিজেদের জাতি নিয়ে গর্বিত। এখনও প্রথা মেনে সিদ্দিরা নিজস্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে বিয়ে করে। এই কারণে আফ্রিকা ছাড়ার এত বছর পরেও এই সম্প্রদায়ের মধ্যে আফ্রিকান ছাপ রয়েছে। তাদের মধ্যে আফ্রিকান ছাপ থাকলেও কেউ আফ্রিকার কোনও দেশে যাননি। এর কারণ সেই দারিদ্রতা। কারণ আফ্রিকায় যেতে যেই খরচ সেটা হয়তো একজনের আয় করতে কয়েক বছর লেগে যাবে। তাই হয়তো, বিমানে চড়াকে তারা লাক হিসেবে দেখেন।

তথ্যসূত্র
Wikipedia
Gujarat Tribal Research – Siddi Tribe
DD India (YouTube)
India Today
Unfiltered by Samdish – YouTube
The Wire

Pakistan Village in Bihar: ভারতের মধ্যে রয়েছে এক টুকরো পাকিস্তান, জানুন ইতিহাস

Pakistan Village in India details

‘বাবুমশাই’ কবিতায় শঙ্খ ঘোষ লিখেছিলেন ‘এই কলকাতার মধ্যেই আছে আর একটা কলকাতা…’। সত্যিই তো একটা শহরের দুটো রূপ, একটা দেখা যায় আর একটা খুঁজে দেখতে হয়। কেমন হয় যদি আমি বলি এই ভারতের মধ্যেই রয়েছে একটা পাকিস্তান। যেটা খুঁজে দেখতে হয়। আর এই পাকিস্তান রয়েছে বিহার রাজ্যে পূর্ণিয়া জেলায় (Pakistan Village in Bihar)।

পাকিস্তান মানে সবার আগে যেই শব্দটা অধিকাংশ ভারতীয়র মনে ভেসে ওঠে সেটা হলো শত্রু। কূটনৈতিক থেকে শুরু করে সবস্তরেই ভারত পাকিস্তান শত্রু। বয়কট, পাল্টা বয়কটের পালা চলতে থাকে। কিন্তু ভারতে এই গ্রাম পাকিস্তান নামটা বহন করে চলেছে। শুধু তাই নয়, সরকারি রেকর্ডেও রয়েছে এটি। জেনে নিন বিস্তারিত-

ভারতে কী করে পাকিস্তান গ্রাম হলো (Pakistan Village in Bihar)?

১৯৪৭ সালে দেশভাগের প্রভাব পড়েছিল পূর্ণিয়া জেলার এই গ্রামেও। ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হওয়া পাকিস্তানের পূর্বভাগ যা সেই সময়ে নাম হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ), সেখানে চলে গিয়েছিলেন গ্রামের মুসলিম মানুষরা।

কিছুটা বাধ্য হয়েই নিজেদের ভিটে ছাড়তে হয়েছিল সেই গ্রামবাসীদের। যারা থেকে গিয়েছিলেন তাঁরা সেই চলে যাওয়া মানতে পারেননি। তাই চলে যাওয়া মানুষদের বিদায়ে গ্রামবাসীরা গ্রামটির নাম রাখেন পাকিস্তান।

সাচ্চা দেশপ্রেমী, এই গ্রামে প্রতি বাড়ি থেকে একজন সেনায়, চিনে নিন ভারতের আর্মি গ্রামকে

তবে দেশের মধ্যে শত্রু রাষ্ট্রে নামে একটি গ্রাম থাকলেও সেটা নিয়ে কারও কোনও হেলদোল নেই। বিশেষ করে স্থানীয় প্রশাসনের। সম্প্রতি এক ইউটিউবার তাঁর Unfiltered by Samdish চ্যানেলে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেন। যেখানে দেখানো হয়, গ্রামের কাঁচা রাস্তা। বৃষ্টি হলে রাস্তা আর পুকুরের মধ্যে ফারাক খুঁজে পাওয়া যায় না।

এই খারাপ রাস্তার জন্য গ্রামবাসীদের অনেকের মৃত্যুও হয়। কারণ সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায় না।

জনসংখ্যা ও স্থানীয় সামাজিক অবস্থা

  • সরকারি হিসেব অনুযায়ী, এই গ্রামের বাসিন্দা ১২০০–১৫০০ জন।
  • গ্রামে অধিকাংশ মানুষ হিন্দু আদিবাসী। তাদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৩৫%।

পাকিস্তান গ্রামের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও আয়ের উৎস

  • গ্রামীণ জনজীবনের প্রাথমিক আয়ের মাধ্যম হলো কৃষি। এখানকার বাসিন্দাদের অধিকাংশই কৃষক
  • গ্রামবাসীদের দাবি, সরকারী সাহায্য প্রায় নেই বললেই চলে। সেচ, সার ও বীজের জন্য সরকারি অফিসে ঘুরতে হয়
  • আর্থিক সমস্যার জন্য অনেকেই তাদের সন্তানকে স্কুলে পড়াতে পারেন না। এর ফলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম পুঁথিগত বিদ্য়া থেকে দূরে চলে যাচ্ছে
Pakistan Village in Bihar

গ্রামের পরিকাঠামো

  • গ্রামের প্রতিটা রাস্তা কাঁচা বা মাটির
  • বিদ্যুৎ সংযোগ কয়েকটা বাড়িতে থাকলেও সেটা অনিয়মিত
  • কোনও সরকার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা সরকারী স্কুল নেই

শিক্ষা ও স্কুলের অবস্থা

  • স্কুল নেই, নেই শিক্ষকের নিয়মিত উপস্থিতি। অধিকাংশ শিশুই প্রাথমিক স্তরের পর পড়াশোনা ছেড়ে দেয়
  • দিশীকা হাঁসদা নামে একজন গ্রামের একমাত্র শিক্ষিত। সে পড়েছে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত। কারও চিঠি হোক বা খবর, সেই গোটা গ্রামকে জানায়

গ্রামবাসীদের দাবি, এই সমস্যা জানা সত্ত্বেও সরকার নির্বিকার।

ভালোবাসার জন্য ভেঙেছিলেন আস্ত পাহাড়, জেনে নিন মাউন্টেন ম্যান দশরথ মানঝির গল্প

নাম পরিবর্তনের চাপ ও প্রশাসন

লম্বা চেষ্টার পর গ্রামটির নাম বদলের উদ্যোগ নেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। পাকিস্তান বদলে বীরসা নগর নাম দেওয়া হয়।
সেই হিসেবে ২০১৯ সালে গ্রামের নতুন নাম দিয়ে একটি সাইনবোর্ডও লাগানো হয়। কিন্তু আলঙ্কারিক পরিবর্তনই হয়েছে। গ্রামবাসীদের আধার বা ভোটার কার্ডে এখনও পাকিস্তান গ্রাম লেখা আছে।

ভোট আসে ভোট যায়, নিয়ম করে নেতারা গ্রামে একগাল হাসি নিয়ে গিয়ে ভোট চান। ক্ষমতায় থাকা দলের নেতা বলেন, ‘আমাকে জেতান, যেই কাজ বাকি আছে সেটা করে দেব।’ বিরোধী নেতা বলেন, ‘আমাকে জেতান আমি করে দেব।’ গ্রামবাসীরা শাসক বিরোধী এখন কারও উপরেই বিশ্বাস করেন না। আসলে প্রত্যেকবার প্রতিশ্রুতি আর সেটাকে ভাঙতে দেখে গ্রামবাসীরা হতাশ। এখনও অধিকাংশর কাছে পাকা ঘর নেই। কারও ঘরের দেওয়াল হেলে পড়েছে। সেটাকে বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখতে হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প পৌঁছয়নি সেই গ্রামে। গ্রামবাসীদের পাকিস্তান শব্দে আপত্তি নেই। আপত্তি ব্রাত্য থাকায়। একজন নাগরিক হয়ে, ভোটার হয়েও সরকারি পরিষেবা থেকে ব্রাত্য থাকায় আপত্তি রয়েছে তাঁদের। ছবি কি বদলাবে?

এই ঘটনাটি আপনার কেমন লাগল? কমেন্টে জানান।

তথ্যসূত্র:
Wikipedia: Pakistan village Bihar history, demographics, naming controversy
Gulf News: demands for renaming, villagers’ shame
Firstpost: detailed field report, education, livelihood, grievances
The National: identity card address issue, renaming to Birsa Nagar

সুপারফাস্ট প্রসেসর, বাজিমাত করতে হাজির iQOO Z10R

features of iQOO Z10R

স্মার্টফোনের বাজারে নতুন হিসেবে এসে একেরপর এক স্মার্টফোন এনে চমকে দিচ্ছে iQOO. সদ্য তারা তাদের নতুন সেমি-ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন iQOO Z10R বাজারে আনল। মিড রেঞ্জ স্মার্টফোনের বাজারে বাকিদের টেক্কা দিতে তৈরি তারা।

এই স্মার্টফোনে রয়েছে MediaTek Dimensity 7400 চিপসেট, Android 15 নির্ভর Funtouch OS 15 নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। বিস্তারিত জেনে নিন এই ফোনের ফিচার-

প্রসেসর ও পারফরম্যান্স: Dimensity 7400 ও Octa core-এর ক্ষমতা

  • iQOO Z10R-এ ব্যবহার করা হয়েছে MediaTek Dimensity 7400-এর শক্তিশালী অক্টাকোর চিপসেট। এটির ক্লক স্পিড 2.6 GHz
  • এটিতে ২ বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেট ও ৩ বছর সিকিউরিটি আপডেট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে
  • ফোনের তাপমাত্রা সামলানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে গ্রাফাইট কুলিং সিস্টেম। ফলে দীর্ঘ সময় গেমিং বা মাল্টি‑টাস্কিং করলেও ফোন অতিরিক্ত গরম হবে না

ফেসবুক থেকেও ছড়াতে পারে বিপদ, অনলাইনে সেফ থাকবেন কী ভাবে?

পারফরম্যান্স ফিচার

  • এটির AnTuTu স্কোর সাড়ে ৭ লাখ, ফলে এই ফোন অতিরিক্ত লোড নিতে পারে
  • ভার্চুয়াল RAM-এর সাহায্যে এটিকে ২০GB পর্যন্ত বাড়ানো যায়

ডিসপ্লে ও রিফ্রেশ রেট: প্রিমিয়াম ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্স

  • iQOO Z10R-এ রয়েছে 6.77 ইঞ্চির কোয়াড কার্ভ অ্যামোলেড ডিসপ্লে
  • ডিসপ্লে 120 Hz রিফ্রেশ রেট, ফলে দৈনন্দিন ব্যবহার ও গেমিংয়ের ক্ষেত্রে একটা স্মুদ অভিজ্ঞতা হবে
  • ডিসপ্লেতে রয়েছে HDR10+ প্রযুক্তি এবং লো ব্লুলাইট ফিচার, ফলে বেশিক্ষণ ব্যবহার করলেও চোখের উপর চাপ পড়ে না

সফটওয়্যার: Android 15 ও FunTouch OS 15

ফোনে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ১৫। এর সঙ্গে রয়েছে ফানটাচ OS-এর স্কিন

এরসঙ্গে রয়েছে আকর্ষণীয় AI ফিচার

  • AI Note Assist: আপনি কিছু নোট নিলে সেটা থেকে রিমাইন্ডার সেট করতে পারবেন একটা ভয়েস কমেন্ট দিয়ে
  • Circle to Search: এই ফিচারের মধ্যে দিয়ে আপনি ফোনে কোনও ছবির উপর আঙুল দিয়ে সার্কেল করে সেটাকে সার্চ করতে পারবেন
  • AI Photo Enhance: কোনও ছবির কোয়ালিটি বাড়াতে পারবেন
  • AI Screen Translation: স্ক্রিনে কোনও লেখাকে আপনি আপনার পছন্দের ভাষায় এক ক্লিকে ট্রান্সলেট করতে পারবেন
  • AI Transcription Assist: এর দ্বারা আপনি যেটা বলবেন সেটা টেক্সট আকারে আসবে

মিড রেঞ্জের রাজা, বাজারে এল OnePlus Nord 5, জানুন দাম, ফিচার্স

শক্তিশালী ক্যামেরা

রিয়ার ক্যামেরা (50 MP):

  • ফোনের রিয়ার ক্যামেরা হলো 50 MP. এটিতে রয়েছে Sony IMX882 সেন্সর। এরসঙ্গে রয়েছে 2 MP-এর ডেপথ সেন্সর
  • এই ফোনে রয়েছে OIS-এর সুবিধা। ফলে ছবি ও ভিডিয়ো স্টেবল হবে
  • 4K ভিডিয়ো রেকর্ডিং রয়েছে। এরসঙ্গে আছে HDR, সুপার নাইট মোড, প্যানোরমা, স্টুডিও লাইটের মতো ফিচার। আন্ডারওয়াটার লাইট মোডও জনপ্রিয়

ফ্রন্ট ক্যামেরা (32 MP):

  • ফ্রন্ট ক্যামেরা 32 MP. এটি দিয়ে 4K ভিডিয়ো রেকর্ড করা যায়
  • এটি সেলফি ও ভিডিয়ো ভ্লগিংয়ের জন্য উপযোগী
  • ফলে যারা ভ্লগিং করেন তাঁদের জন্য পারফেক্ট হতে পারে এটি

ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি

  • ফোনের ঘনত্ব মাত্র 7.39 mm, ওজন প্রায় 183.5 গ্রাম। ফলে এটি হাতে নিলে একটা প্রিমিয়ার পিল আসবে
  • IP68 + IP69 রেটিং রয়েছে। বৃষ্টিতে ফোন ভিজলে বা জলে পড়ে গেলে সমস্যা হবে না
  • ডুয়াল স্টিরিও স্পিকার থাকায় বেশ জোরে আওয়াজ হয়

ব্যাটারি ও চার্জিং: দীর্ঘসময় ব্যবহার ও ফাস্ট চার্জিং

এই ফোনে রয়েছে 5,700mAh ব্যাটারি। এই দামে এটা বেশ বড় ব্যাটারি
এরসঙ্গে রয়েছে 44W -এর চার্জিং
কোম্পানির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ৫০% চার্জ মাত্র ৩৩ মিনিটে হয়ে যাবে

iQOO Z10R-এর দাম

  • ভারতের বাজারে এর তিনটি ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাচ্ছে। 8GB RAM +128GB মডেলের দাম 19,499 টাকা। 8GB+256GB মডেলের দাম 21,499 টাকা ও 12GB+256GB দাম 23,499 টাকা
  • অনলাইনে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কার্ডের মধ্যে দিয়ে ছাড় পাবেন

অনলাইনে অর্ডার করুন এখানে ক্লিক করে

পুজোয় এ বার নতুন ফোন? ২০ হাজারের নিচে দেখে নিন সেরা বিকল্পগুলো

সুবিধা ও সমস্যা

সুবিধা:

  • শক্তিশালী প্রসেসর হওয়ায় মাল্টি টাস্কিং বা ভারী গেম খেলতে কোনও সমস্যা হবে না
  • 120 Hz রিফ্রেশ রেটের জন্য ফোন ব্যবহারের সময় স্মুদ অভিজ্ঞতা হবে
  • হাই কোয়ালিটি ছবি ও ভিডিয়ো শ্যুট করা যাবে
  • পাওয়ারফুল ব্যাটারি ও ফাস্ট চার্জিং

সমস্যা

একাধিক ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, এখানে প্রচুর ব্লোটওয়ার হয়েছে। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ ব্লোটওয়ার ডিলিট করা যায় না।
অনেকে জানিয়েছেন সফটওয়্যার ঠিকমতো অপ্টিমাইজ় হয় না

যারা গেমিং, ভ্লগিং বা কনটেন্ট তৈরি করেন তাদের জন্য এই ফোনটা পারফেক্ট হতে পারে। লম্বা ব্যাটারি থাকায় সিঙ্গেল চার্জে একদিন ব্যবহার করা যাবে।

Masala Dosa: লাগবে 15 মিনিট, বাড়িতেই বানান রেস্টুরেন্ট স্টাইলে, জানুন পদ্ধতি

masala dosa recipe

বর্তমানে ভারতের এক প্রান্তের খাবার অপরপ্রান্তে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। মশলা থেকে শুরু করে উপকরণ সবকিছুই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাওয়া যায়। আর এই খাদ্যতালিকায় যেটা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় সেটা মশলা ধোসা (Masala Dosa)। দক্ষিণ ভারতের এই জনপ্রিয় খাবার এখন দক্ষিণ ভারতের গন্ডি পেরিয়ে উত্তর, পূর্ব, পশ্চিম ভারতেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। কিন্তু এটা খাওয়া যতটা সহজ, বানানো ততটাই কঠিন।

দক্ষিণ ভারতের যেকোনও রাজ্যে গেলে আপনি প্রতিটা গলিতে ধোসার দোকান পাবেন। কিন্তু বাকি জায়গায় সেটা সম্ভব নয়। ফলে মন চাইলেও সবসময় ধোসা খাওয়া যায় না। অনলাইনে Zomato বা Swiggy থেকে অর্ডার দিলে সেটা যতক্ষণে ডেলিভারি হয়, ততক্ষণে তার সেই মুচমুচে ব্যাপারটা থাকে না। কেমন হয় যদি বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন মশলা ধোসা। জেনে নিন মশলা ধোসা রেসিপি।

মশলা ধোসা কী?

Masala Dosa হলো একটি পাতলা, ঝুরঝুরে ধোসা যার মধ্যে থাকে একটি ঝাল-মিষ্টি আলুর পুর, এটাকেই বলা হয় মশলা। এটি সাধারণত নারকেল চাটনি এবং গরম সাম্বারের সঙ্গে খাওয়া হয়।

মশলা ধোসার শুরু

এটি মূলত কর্ণাটক রাজ্যের উদুপি থেকে থেকে শুরু। ধীরে ধীরে এটি গোটা দক্ষিণ ভারত, এমনকী সারা ভারতেও ছড়িয়ে পড়ে। আজকের দিনে মশলা ধোসা ভারতীয়দের একটি অবিচ্ছেদ্য আইটেম।

Masala Dosa বানাতে কী কী উপকরণ লাগবে (মশলা ধোসা রেসিপি)

ধোসার ব্যাটার তৈরি:

  • ২ কাপ সাদা চাল
  • হাফ কাপ অড়হর ডাল
  • ২ টেবল চামচ ছোলার ডাল (ঐচ্ছিক)
  • ১ চা চামচ মেথি
  • পরিমাণমতো নুন
  • জল প্রয়োজন মতো

সন্ধ্যার চা এ বার আরও জমজমাটি, বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন ক্রিসপি ভেজ চিজ় বল

মশলা তৈরির উপকরণ:

  • ৩-৪টি মাঝারি আকারের সেদ্ধ আলু
  • পাতলা করে কাটা ১টি পেঁয়াজ
  • ১টি কুঁচি করা কাঁচা লঙ্কা
  • ১ চা চামচ সর্ষে
  • অড়হর ডাল ১ চা চামচ
  • ৫–৬টি কারি পাতা
  • সামান্য হলুদ গুঁড়ো
  • পরিমাণমতো নুন
  • ১ টেবল চামচ তেল
  • সামান্য কাটা ধনে পাতা
  • মশলা ধোসা রান্না করার পদ্ধতি

ব্যাটার তৈরি

  • চাল, অড়হর ডাল, ছোলার ডাল ও মেথি একসঙ্গে ৫-৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন
  • ভেজানো ডাল ও চাল জলসহ পেস্ট বানিয়ে নিন
  • ব্যাটারে নুন মিশিয়ে ঢেকে রাখুন এবং গরম জায়গায় সারারাত ঢেকে রেখে দিন

ধোসার মশলা বানানো

  • একটি কড়াইতে তেল গরম করে কালো সর্ষে দিন। ফোড়ন হলে অড়হর ডাল, কারি পাতা দিন
  • পেঁয়াজ ও কাঁচা লঙ্কা দিয়ে ভাজুন যতক্ষণ না নরম হয়
  • হলুদ গুঁড়ো দিন। তার পর সেদ্ধ ও মাখানো আলু দিন
  • নুন মেশান ও ভালোভাবে নাড়ুন। ২–৩ মিনিট এভাবেই চালিয়ে যান
  • কাটা ধনে পাতা ছড়িয়ে নামিয়ে নিন

ধোসা বানানো

  • তাওয়া গরম করে নিন। সামান্য তেল বা ঘি মাখান
  • ব্যাটার ঢেলে গোল করে ছড়িয়ে পাতলা করে দিন
  • তাওয়ার চারপাশে সামান্য তেল ছড়িয়ে দিন
  • মাঝখানে আলুর পুর মাঝখানে রাখুন
  • ধোসা ভাজা হয়ে গেলে ভাঁজ করে প্লেটে পরিবেশন করুন

খেয়াল রাখবেন ধোসা যেন তাওয়াতে লেগে না যায়। এক্ষেত্রে গ্যাসের তাপমাত্রা কম বেশি করবেন।

মাত্র ১৫০ টাকায় ৩ জন পেট ভরে খান, বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন পনির টিক্কা পিৎজ়া

মশলা ধোসার সঙ্গে কী পরিবেশন করবেন?

  • নারকেল চাটনি (Coconut Chutney)
  • সাম্বার (Sambar)
  • টম্য়াটো চাটনি
  • পুদিনা চাটনি

মশলা ধোসা কেন স্বাস্থ্যের দিক থেকে ভালো?

Masala Dosa শুধু সুস্বাদুই নয়, স্বাস্থ্যকরও। এতে রয়েছে-

  • হাই ফাইবার ও প্রোটিন: ডাল ও চালের ব্যাটার হজমে সাহায্য করে
  • কম ফ্যাট: ডিপ ফ্রাই না হওয়ায় এটি তুলনামূলকভাবে হালকা, ফলে পেটে সমস্যা হয় না
  • সেদ্ধ করা আলু ভিটামিন বি৬ ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ
  • কারিপাতা ও মেথি হজম ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে

মাথায় রাখুন এগুলো

  • ধোসা আরও ক্রিস্পি করতে চাইলে ব্যাটারে সামান্য সুজি মেশাতে পারেন
  • ব্য়াটার রেখে দেওয়ার সময়ে গরম জায়গা ব্যবহার করুন
  • আলুর মশলায় পনির বা পেঁয়াজ পাতা যোগ করতে পারেন

ডেকার্স লেন: রাস্তা নয়, কলকাতার স্ট্রিট ফুড স্বর্গ

বর্তমানে Masala Dosa ভারতের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বে একাধিক দেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ফলে এটা বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারলে আর সমস্যাই নেই। অনেক খরচও কমবে, পাশাপাশি গরম গরম ধোসা খাওয়াও যাবে। এখন অর্ডার করলে মশলা ধোসা যতক্ষণে বাড়িতে আসবে ততক্ষণে সেটা ঠাণ্ডা হয়ে স্বাদ চলে যাবে। আর বাড়িতে বানানোর থেকে ভালো বিকল্প আর কিছুই নেই। তবে এটা বানাতে আপনাকে অনেকটা সময় ব্যয় করতে হবে।

তথ্যসূত্র
NDTV Food
Sanjeev Kapoor Recipes