ইডেন গার্ডেন্সের পাশে অবস্থিত আকাশবাণী ভবনের সামনের রাস্তা দিয়ে রাজভবনের রাস্তা বরাবর গেলে ডান হাতে পড়ে RBI মিউজ়িয়াম। আর সেটাকে ছাড়িয়ে আরও কিছুটা এগিয়ে গেলে পড়ে একটি মোড়। সেটির বাঁহাতে রয়েছে সাদা রংয়ের পেল্লাই একটি বাড়ি। লম্বা লম্বা সাদা থাম, উপরে একটা টোম্ব এবং সেটির নিচে লাগানো একটি ঘড়ি। ওই চত্ত্বর দিয়ে যারা যাতায়াত করেন, তাঁদের কাছে এটা পরিচিত GPO হিসেবে। GPO Kolkata অর্থাৎ, General Post Office নামে।
নাম থেকেই বুঝতে পারছেন এটায় কী হয়। এটা একটা পোস্ট অফিস অর্থাৎ, ডাকঘর। যা কলকাতা তথা গোটা পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় ডাকঘর। যা চলছে ১৮৬৮ সাল থেকে। পাশাপাশি এটা ভারতের প্রথম ডাকঘর। এখান থেকে বুঝতেই পারলেন, এটা আর পাঁচটা ডাকঘরের মতো নয়। এটার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অনেক ইতিহাস।
জেনে নিন GPO Kolkata-র ইতিহাস
কলকাতার জেনারেল পোস্ট অফিস (GPO) শহরের অন্যতম ঐতিহাসিক ভবন ও প্রধান ডাকঘর। ব্রিটিশ শাসনের সময় ডাকব্যবস্থাকে সুসংগঠিত করার জন্য ১৮৬৮ সালে এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ওয়াল্টার বি গ্রিফিন এই ভবনের নকশা তৈরি করেন। এর স্থাপত্যশৈলী ইউরোপীয় ধাঁচের, বিশেষ করে ইতালীয় রেনেসাঁ রীতিতে তৈরি করা হয়েছে। সাদা গম্বুজ ও উঁচু কলাম GPO-কে শহরের প্রতীকী স্থাপত্যে পরিণত করেছে।
এক সময়ে এই জায়গায় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রশাসনিক দপ্তর ছিল। পরে তা কলকাতার প্রধান ডাকঘরে রূপান্তরিত হয়। ব্রিটিশদের সময়কার ডাক নীতিমালা থেকে শুরু করে স্বাধীন ভারতের পোস্টাল সার্ভিস পর্যন্ত কলকাতা GPO গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আজও এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার চিঠি, পার্সেল ও সরকারি নথি বিনিময় হয়। তাই GPO শুধু ভবন নয়, কলকাতার ঐতিহাসিক যোগাযোগ ব্যবস্থার অংশ।
কলকাতার GPO-তে কীভাবে যাবেন?
কলকাতা GPO-র ঠিকানা B.B.D. Bagh, Kolkata-700001।
শিয়ালদহ বা হাওড়া স্টেশন থেকে বাস, ট্যাক্সি বা মেট্রোতে সহজেই পৌঁছানো যায়।
সবচেয়ে কাছের মেট্রো স্টেশন — Esplanade।
B.B.D. Bagh থেকে কয়েক মিনিট হাঁটলেই GPO পৌঁছে যাবেন।
GPO কলকাতার গুরুত্ব
আজও কলকাতা GPO দেশের অন্যতম ব্যস্ত ডাকঘর।
এটি শুধু ডাকপত্র নয়, বহু সরকারি কাজেরও কেন্দ্র।
একবার সময় পেলে এই ঐতিহাসিক ভবনটি ঘুরে দেখতেই পারেন!
Discover more from Unknown Story
Subscribe to get the latest posts sent to your email.
ভারতে প্রথম, সাক্ষী স্বাধীনতা আন্দোলনে, জেনে নিন কলকাতা হাইকোর্টের ইতিহাস - ভারতে প্রথম, সাক্ষী স
[…] […]